বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১৮

মায়াবতী




নবম শ্রেণীতে পড়তাম তখন।এক শীতের সকালে ঘুমঘুম চোখে প্রাইভেটে যাচ্ছিলাম।সেদিন মোটামোটি কুয়াশা ছিল।এক বাড়ির পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম দেখলাম ঘর থেকে একজন লোক আর একজন মেয়ে বের হল।আগে কখনো এলাকায় দেখিনি।নতুন হবে মনেহয়।সম্পর্কে বাবা আর মেয়ে হয়তোবা,কারণটা বয়সের পার্থক্যেই বোঝা যাচ্ছে।খেয়াল করলাম এজন্যই যে,মেয়েটি তার বাবার হাত ধরে ছিল যেমনটা একটা ছোট বাচ্চা ধরে রাখে।দেখে মনে হচ্ছিল মেয়েটি মনেহয় হারানোর ভয়েই বাবার হাত এত ভালোভাবে আঁকড়ে ধরেছিল।কারণ মেয়েটি জানে এটা সবচেয়ে ভরসার জায়গা,তার বাবা তার কোনো ক্ষতি হতে দিবেনা।দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছিল যে এতবড় একটা মেয়ে এখনো বাবার হাত ধরে রাস্তায় হাঁটে।
.
মেয়েটি কালো রংয়ের একটি চাদর পড়া ছিল,বাম কাঁধে একটি ব্যাগ,চেহারা মায়াবী ধরনের,ডান হাত দিয়ে বাবার বাম হাত শক্তকরে ধরা ছিল।আর মেয়েটির বাবা একটি সাদা পাঞ্জাবী পড়া ছিল কালো পায়জামা দিয়ে।বাবা-মেয়ের মধ্যে অনেক ভালোবাসা যা বোঝা যাচ্ছিল।তারপর তারা তাদের গন্তব্যস্থলের রাস্তামত হাঁটা দিল আর আমি আমার রাস্তামত হাঁটা দিলাম।
.
মনটা একটু খারাপ ছিল কারণ গতরাতে বেশি ঘুমাতে পারিনি।ও বলাইতো হয়নি,আমি আবার প্রচুর ঘুমকাতুরে ছেলে।তাই বেশি বন্ধুবান্ধবও নেই কারণ পড়ালেখা করে বাকি সময় ঘুমিয়ে পার করি।শুনেছিলাম অতিরিক্ত ঘুমালে মানুষ মোটা হয়ে যায়।কথাটা কতটুকু সত্যি তা নিজের বেলাতেই প্রমাণ পাচ্ছি।আর না হয় আমি এক্সট্রাঅরডিনারি তাই হয়তোবা আমার সাথে এমন(নিজের সুনাম বলার সুযোগ মিস করতে হয়না)।যাই হোক বাবা আর মেয়ের ভালেবাসা দেখেই মনটা ভালো হয়ে গেল।সময়মতই প্রাইভেটে পৌঁছালাম।ভাবছিলাম তাদের কথা,সাথে নিজেরও।আমি আমার বাবার হাতটা ধরে শেষ কবে রাস্তায় হেঁটেছিলাম মনে নেই।
.
প্রাইভেট শেষ করে স্কুলে পৌঁছালাম।ক্লাসের ফার্স্ট বয় আমি তাই ছেলেদের পাশের প্রথম বেঞ্চের কিণারায় আমার জায়গাটা সবসময়ই থাকে।কেন যে সবাই খালি রাখে বলতে পারিনা।আমি কখনো রাখতে বলিনি আর কখনো জিজ্ঞাসাও করিনি তাদের,যে কেন করে এমনটা।নিজের জায়গায় বসে সকালের নাস্তা করছিলাম হঠাৎ শুনলাম তানিয়া কাউকে ঝগড়ার সুরে এই মেয়ে এই মেয়ে বলে ডাকছে।ও তানিয়ার পরিচয়টা দেয়া হয়নি।ক্লাসের সেকেন্ড গার্ল।অনেকটা অহংকারী মেয়ে।সবার সাথে প্রচন্ড খারাপ ব্যবহার করে।ক্লাস ক্যাপ্টেন সে-ই ।আমি কথা কম বলি দেখে স্যার ওকে ক্যাপ্টেন্সির দায়িত্ব দিয়েছে।আর ক্লাসের সবার নামই এই মেয়ের জানা আছে।তো এই মেয়ে এই মেয়ে বলে কাকে ডাকছে! কৌতূহলবশত পাশের সারিতে তাকালাম।তানিয়ার পেছনের দিকটাই দেখা যাচ্ছিল,মেয়েটিকে দেখা যাচ্ছিলোনা।কিন্তু কথোপকথন ভালোভাবেই শোনা যাচ্ছিল,
.
এই মেয়ে(তানিয়া)
↬আমাকে বলছেন?(মেয়েটি)
হুম তোমাকেই
↬বলুন?
তুমি এই জায়গায় বসেছো কেনো?জানোনা এটা আমার জায়গা?
↬আমিতো স্কুলে নতুন তাই জানতামনা।আর কেউ আমাকে বসতে মানাও করেনি।
আচ্ছা জানতেনা,এখনতো জেনে গেছ।তাহলে এখন আমার জায়গা ছাড়ো আমি বসব।
↬জ্বি আচ্ছা
.
মেয়েটি উঠে চলে যাচ্ছিল।আমার কাছে তানিয়ার ব্যবহার এমনিতেই খারাপ লাগে কিন্তু কিছু বলিনি এতদিন ,নিজেকে কি যেন মনে করে!!!নতুন একজন ছাত্রীর সাথে কিভাবে কথা বলে তাও শেখেনি।তানিয়ার ব্যবহার অসহ্য লাগছিল তাই ওকে কিছু বলার জন্য ওদের সামনে গেলাম।সামনে গিয়ে দেখলাম নতুন মেয়েটি সকালের সেই বাবার হাত ধরে হেঁটে যাওয়া মেয়েটি।
.
আপনি উঠবেননা,বসুন।(আমি)
↬এটা আমার জায়গা(তানিয়া)
দেখিতো নাম লেখা আছে নাকি! কই?কোথাওতো তোমার নাম লিখা নেই।তাহলে এটা কিভাবে তোমার জায়গা হল?তোমার যতটা অধিকার আছে এই জায়গাতে তেমনি ক্লাসের সব মেয়ের ততটাই অধিকার আছে।একটু বেশিওনা,একটু কমও না।
↬তাহলে তুমি সবসময় ঐ জায়গাতেই বস কেনো?
আমি এই জায়গা খালি পাই তাই বসি।কেউ কখনো ঐ জায়গাতে বসেনা।কেন বসেনা তা ওরাই ভালো জানে,আমি কখনো জানার প্রয়োজন মনে করিনি তাই জানিনা।আর হ্যাঁ আমাকে কখনো কাউকে উঠিয়ে এই জায়গায় বসতে দেখেছো তোমার মত?

কোনো কথা বললোনা তানিয়া।রাগে ফুসতে ফুসতে পেছনে চলে গেল।আমিও আমার জায়গায় চলে আসলাম।মেয়েটি এতক্ষণ দাঁড়িয়ে আমাদের কাহিনী দেখছিলো।আমরা চলে আসার পর সেও ব্যাগ নিয়ে পেছনে চলে যায়।
.
মেয়েটি কেন এমন করল জানিনা।এই প্রথম কারো আজব ব্যবহারের কারণ জানার ইচ্ছে হল।ক্লাস শুরু হল।প্রতিদিন ৭টা ক্লাস আমাদের।৪ ক্লাস পর টিফিন।তারপর ৩ ক্লাস।৪ ক্লাস শেষ হবার আগেতো আর কথা বলা যাবেনা।তাই অপেক্ষা করতে লাগলাম টিফিনের।অপেক্ষার প্রহর যেনো কাটতেই চায়না।আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছিলাম তাড়াতাড়ি টিফিনের সময়টা যেনো চলে আসে।যাইহোক টিফিনের সময় এল।তাড়াহুড়ো করে নিজের টিফিন শেষ করলাম।এবার মেয়েটির টিফিন শেষের অপেক্ষায়।ভাবছিলাম যাব কি যাবোনা!এক মন বলছিল জানার দরকার নেই,আরেক মন বলছিল দরকার আছে।অনেক চিন্তা ভাবনা করে মনের সাথে যুদ্ধ করে ঠিক করলাম যে আমার জানতে হবেনা এখন।সেদিনের মত ক্লাস শেষ করে বাসায় চলে আসলাম।
.
মেয়েটির জন্য এই প্রশ্নটা মনের মধ্যেই রেখে দিলাম।যদি কখনো কথা হয় উত্তরটি জেনে নিব।পরদিন মেয়েটিকে আবারও বাবার হাত ধরে স্কুলে আসতে দেখলাম।এই দৃশ্যটা আমার অনেক ভালো লাগে,কেন লাগে জানিনা।আরেকটি প্রশ্ন মনে জাগ্রত হল,কেন মেয়েটি এভাবে বাবার হাত ধরে হাঁটে।এটাও জমা রাখলাম আমার মনের প্রশ্নব্যাংকে।
.
আজ ক্লাসে মেয়েটি তানিয়ার পাশে বসেছে।মেয়েটি নিশ্চয়ই পাগল না হয় ছাগল।না হয় গতকাল এতটা খারাপ ব্যবহারের পরও ওর পাশে বসতোনা।ওরেব্বাপরে,মেয়েটি তানিয়ার সাথে হাসিমুখে কথাও বলছে।আমি ওর জায়গায় থাকলে এমনটা কখনো করতামনা।
শুধু তানিয়ার সাথেই নয় ধীরে ধীরে মেয়েটি ক্লাসের সব মেয়ের সাথেই বন্ধুত্ব করে ফেলে।সবাইকে সাহায্য করে যতটা সম্ভব।ক্লাসটাকে এখন অন্যরকম লাগে।আর মেয়েটি ক্লাসে ঢুকলেই সবাই তাদের সাথে বসার জন্য এই মেয়েটিকেই ডাকাডাকি করে।সবাই ওকে-ই ডাকে কেনো!আসলেই মায়াবতীর মায়ার তুলনা নেই।
.
আগে সবসময় ক্লাসে তানিয়ার হৈ চৈ শুধু শোনা যেত।এখনো শোনা যায় কিন্তু সবার একসাথে।তানিয়ার মেজাজের মধ্যেও পরিবর্তন অনেক কারণটা মায়াবতীই।আরেকটা মজার বিষয় হচ্ছে যেই তানিয়া আগে প্রথম বেঞ্চে বসার জন্য ঝগড়া পর্যন্ত করতো সে এখন প্রথম বেঞ্চেই বসেনা,শেষের বেঞ্চে বসে সাথে মায়াবতীও।
.
কিছুদিনের মাঝে মায়াবতীর নামও জেনে যাই।ওর নাম অনন্যা।সারাদিন ক্লাসে দুষ্টুমী করে মেয়েদের সাথে।পড়ালেখায়ও মেয়েটি এগিয়ে।এতদিন আমার সাথে কখনো কথা হয়নি মায়াবতীর সাথে কারণ প্রয়োজন পড়েনি।
.
নবম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণীতে উঠলাম।আমার আর তানিয়ার সাথে যুক্ত হয়েছে মায়াবতী, ৩ নম্বর এ।
.
দেখতে দেখতে টেস্ট পরীক্ষা চলে আসল।টেস্টের কিছুদিন আগে আমার আর মায়াবতীর কথোপকথন হয়।আগে কথাটা সে-ই বলে,
↬অনিক তোমার গণিত নোট খাতাটা আমাকে ধার দেয়া যাবে?আসলে আমার খাতটা কমপ্লিট হয়নি,আর সামনে টেস্ট পরীক্ষা।
(সুযোগ হাতছাড়া করার নয়,বলে দিলাম )দিতে পারি যদি আমার ২টা প্রশ্নের উত্তর দাও
↬কি প্রশ্ন?
প্রশ্নব্যাংকে জমানো প্রশ্ন তুলে আনলাম।প্রথম প্রশ্ন,সবসময় তুমি তোমার বাবার হাত ধরে হাঁটো কেনো?
↬(একটা হাসি দিয়ে)আসলে তেমন কিছুনা,এটা অভ্যাস।আমার মা নেই।বাবার হাত ধরেই পথ চলতে শেখা।এখনও তাই করি।বাবার হাত ধরে হাঁটলে মনের মধ্যে কোনো ভয় থাকেনা।
দ্বিতীয় প্রশ্ন,প্রথম দিন পেছনে চলে গিয়েছিলে কেনো?
↬ভালোলাগেনা আমার 
ঝগড়া বা কারো কোনো কিছু দখল করা।নিজেকে দোষী মনে হচ্ছিল তাই পেছনে চলে গিয়েছিলাম।
আচ্ছা খাতা আগামীকাল পেয়ে যাবে
↬ধন্যবাদ(বলেই চলে গেল)
.
ভালো লাগল ওর উত্তরগুলো।মায়াও লাগলো সাথে হিংসেও।মায়া লাগল,কারণ ওর মা নেই,আর হিংসা লাগল কারণ আমি আমার বাবার হাত ধরে হাঁটতে পারছিনা!পরদিন নোট খাতা এনে ওকে দিয়ে দিলাম।এক সপ্তাহ পর খাতা ফেরতও পেয়ে গেলাম।
.
দেখতে দেখতে টেস্ট,এসএসসি শেষ হল।মায়াবতীর প্রতি ভালোলাগাটাও সমানুপাতিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছিল।একরকম পাহাড়া দিয়েই রাখছিলাম ওকে।
রেজাল্ট বের হল।আশানুরূপই ফলাফল সবার।
.
কলেজে ভর্তি হওয়া নিয়ে টেনশন নেই কারণ যে স্কুলে আমরা পড়ালেখা করি তা ইন্টার পর্যন্ত।বেশিরভাগই রয়ে গেল,কিছু ছাত্র-ছাত্রী চলে গেল,সাথে নতুন কিছু ভর্তি হল।আবার আমাদের যাত্রা শুরু।এখনো মায়াবতীকে পাহাড়া দিয়েই রাখছি। ওর ধারে কাছে আজঅবধি কোনো ছেলেকে ঘেঁষতে দেইনি।
.
সেকেন্ড ইয়ারে উঠার পরের ঘটনা,
কিছুদিন যাবৎ হৃদয়কে দেখছি মায়াবতীর আশেপাশে ঘুরঘুর করতে।মনের মধ্যে একটা ভয় জেগে উঠল।
.
হঠাৎ একদিন দেখলাম হৃদয় মায়াবতীকে ডাকছে।ভয়টা তীব্র হল।হৃদয় ডাকলো আর অমনি মায়াবতীও যাচ্ছে হৃদয়ের কথা শুনতে,ভালো লাগলোনা দেখতে।তাই আমিও ডাকলাম অনন্যাকে। অনন্যা?
↬আসছি হৃদয়ের কথা শুনে
এখানে আগে আসো,অনেক দরকার
↬হৃদয়ের কথা শুনে আসি?
এখন আসলে আস,না হয় আর আসতেই হবেনা
↬আসছি
(মায়াবতী আমার কাছেই আসলো আগে)
↬হুম,বল
শোন মায়াবতী(ইস্,বলে দিলাম,থাক সমস্যা নেই)
↬অনন্যা
মায়াবতী
↬অনন্যা
মায়াবতী
↬অাচ্ছা বল কি বলবে?
সেই ক্লাস নাইন থেকে পাহাড়া দিচ্ছি,এখন অন্য কেউ নিয়ে যাবে!হবেনা!! আমার সিরিয়াল প্রথম।
↬কি বলতে চাইছো?
কী বলতে চাইছি বুঝতে পারছোনা তুমি?
↬যা বুঝতে পারছি তাই?
হুম তাই
↬সম্ভব নয়..
কেন নয়?অন্য কেউ আছে?
↬না তা নয়
তাহলে আমার মাঝে কোনো প্রবলেম?
↬নাহ
তাহলে সমস্যা কি?
↬ভালোবাসবো একজনকে আর বিয়ে অন্যজনের সাথে হবে,এটা হতে পারেনা
আচ্ছা প্রেম করতে হবেনা।সাপোর্ট দিলেই হবে
↬কেমনটা?
অপেক্ষা করতে হবে আমার জন্য।করবে?অন্য কারো হতে পারবেনা।এর জন্য যা করার সব আমি করবো।পারবে?
↬আমার মা নেই তাতো জানোই।বাবা মানুষ করেছেন।বড় ভাই ভাবী সবাই আমায় অনেক ভালোবাসে।আমার মতের বাহিরে বিয়ে দিবেনা।
তার মানে হ্যাঁ,তাইতো?
↬হুম..তাই।আমার সাধ্যমত চেষ্টা করবো।কিন্তু ধোঁকা দিলে?
বিশ্বাস রাখতে পারো,ঠকবেনা।আর আমার একটা শর্ত আছে
↬কী?
প্রেম করার শখ ছিল।একসাথে বাদাম খাওয়ার শখ ছিল,নদীর পাড়ে বসে থাকার শখ ছিল।বৃষ্টির সময় একসাথে বৃষ্টি দেখার আর পারলে ভিজার শখ ছিল।এখনতো পূরণ হচ্ছেনা,সমস্যা নেই। কিন্তু পরে তা পূরণ করতে হবে
↬মানে?কখন?
বিয়ের পর।বিয়ের পর ১ বছর আমরা প্রেম করবো।রাজি?
↬পাগল একটা
হুম তাই!
↬আগে বিয়ে হোক তারপর প্রেম করি কিনা দেখা যাবে…!!!
.
এইচএসসি দিলাম।আমার বাবার অবস্থা অনেক ভালো তাইতো হাত ধরার সুযোগ পাইনি কারণ তার কাজের ব্যস্ততা।তার বদলে সবসময় স্বাধীনতা পেয়েছি সকল সিন্ধান্ত নেওয়ার।নিজের জীবনের সবচেয়ে বড় সিন্ধান্ত নেবারও স্বাধীনতা আমি পাব বলেই আশা রাখছি।
.
যেহেতু বাবার টাকা পয়সা ভালোই আছে তাই এইচএসসির রেজাল্টের পর বিদেশ চলে গেলাম পড়াশোনার জন্য।এমবিএ শেষ করে তবেই দেশে ফিরবো মায়াবতীর জন্য।মায়াবতীর প্রতি অনেক বিশ্বাস,জানি কথা রাখবে।
.
এমবিএ কমপ্লিট করে দেশে ফিরলাম।মায়াবতী কথা রেখেছে।সে বিয়ে করেনি বা বিয়ে হয়নি তার।এখনো পড়ালেখা করছে।বাবা-মাকে মায়াবতীর কথা জানালাম।তারা রাজী হল।তারপর তারা মায়াবতীর বাসায় গেল তার বাবা আর পরিবারের মানুষের সাথে কথা বলতে।সবাই সব দেখার পর রাজী।আমার আর মায়াবতীর বিয়ে ঠিক।জানুয়ারি মাসের ১৫ তারিখে আমাদের ছোট বিয়ে আল্লাহর রহমতে সম্পন্ন হল,মানে কাবিন হল আর কি! ১বছর পর বড় বিয়ে করে মায়াবতীকে তুলে আনা হবে আমার বাসায়।চাকরীর বাহানা দিলাম কিন্তু সত্যি হল এই এক বছর আমরা প্রেম করবো সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে।
এই রকম গল্প পড়তে চাইলে আমাদের ফেচবুক পেজ এ লাইক ও কমেন্ট করে সাথে থাকুন ।

1 মন্তব্য(গুলি):

Joy Babu Jewel বলেছেন...

আরো নতুন নতুন ভালোবাসার গল্প পড়তে​
এখানে ক্লিক করুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন