পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ উপহার হচ্ছে ভালোবাসা

আজ হঠাৎ করেই তোমার কথা মনে পড়ে গেলো।মনে সব সময়ই পড়ে, কিন্তু আজ একটু বেশিই ভাবছি তোমার কথা।আজ তোমার স্মৃতিগুলো একটু বেশি নাড়া দিচ্ছে মনের মধ্যে........

ভালোবাসা ভালোবাসে শুধুই তাকে, ভালোবেসে ভালোবাসাকে বেঁধে যে রাখে.

বর্ষা আসবে আসবে ঠিক এমন একটা সময়। নতুন ক্যাম্পাসে নতুন সেমিষ্টার শুরু। সেমিষ্টার শুরু আবার তোমার সাথে আমার দেখা হবে......

তবুও তুমি যে আমার কাছে নিঃশ্বাসের চেয়েও অনেক বেশি প্রিয়

বর্ষা আসবে আসবে ঠিক এমন একটা সময়। নতুন ক্যাম্পাসে নতুন সেমিষ্টার শুরু। সেমিষ্টার শুরু আবার তোমার সাথে আমার দেখা হবে......

তোমার ভালোবাসা কুড়িয়ে কুড়িয়ে ভরে গেছে আমার শাড়ির আঁচলে মোড়ানো কোচড় তবুও শেষ হয়না ভালোবাসার প্রহর !

মন যদি আকাশ হত তুমি হতে চাঁদ,, ভালবেসে যেতাম শুধু হাতে রেখে হাত.. সুখ যদি হৃদয় হত তুমি হতে হাসি,, হৃদয়ের দুয়ার খুলে দিয়ে বলতাম তোমায় ভালবাসি..

যে আমি কোন দিন মাথা তুলে আকাশ দেখিনি সেই আমি আজ আকাশের তারার মাঝে তোমার ছবি একেঁছি

মনটা দিলাম তোমার হাতে যতন করে রেখো,হৃদয় মাঝে ছোট্ট করে আমার ছবি এঁকো.স্বপ্ন গুলো দিলাম তাতে আরও দিলাম আশা , মনের মতো সাজিয়ে নিও আমার ভালবাসা......

বুধবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৮

মেয়েরাও ভালোবাসা পেতে চায় কিন্তু বলতে পারে না



মেয়েরা ভালবাসার জন্য কারো গলায়
ছুড়ি ধরতে পারে না, রাগী গলায়
বলতে পারেনা ভালবাসা দিবি
কিনা বল !!
   
মেয়েরা শুধু পারে অভিমান করতে।
তাদের একটাই অস্ত্র, অভিমান !
  
মেয়েরা একটু বেশি ভালবাসার জন্য,
একটু বেশি আদর পাবার জন্য অভিমান
করে, গাল ফুলিয়ে , মুখ মলিন করে বসে
থাকে ! অথচ এই নিরীহ অস্ত্রটাকে
বেশিরভাগ ছেলেরা বলে ঢং, বলে ন্যাকামি !!
   
মেয়েটি মোটেও ঢং করে না,
বরং অভিমানটুকু দিয়ে তোমার কাছ
থেকে একটু বেশি ভালবাসা চায় !!!

তুলে রাখা ভালবাসা-সম্পর্কটা পুরনো হলেও ভালোবাসা কিন্তু পুরনো হয় নি


তুলে রাখা ভালবাসা

অনেকদিন পরে হাতিরঝিল আসলাম, তাও বন্ধুদের সাথে ঘুরতে। কিছুদিন আগে আমেরিকা থেকে ডাক্তারি পড়া শেষ করে আসলাম। পড়াশুনার সুবাদে বাহিরে থাকা হয়, তাই আর বন্ধুদের সাথে বেড়ানোটা আমার লাইফে খুব কম ছিলো। আজকে এসেই মনটা ফ্রেশ হয়ে গেলো। জোড়ায় জোড়ায় কপোলরা এসেছে আর সিংগেল খুবই কম। মনে হচ্ছে এরিয়াতে কেবল আমরাই সিংগেল আছি। কিছুক্ষন পরেই হাতের বাম পাশে চোখ গেলো। একটা মেয়ে আরও কয়েকজন বয়স্ক মহিলার সাথে আসছিলো। তারা হেটে হেটে যাচ্ছিলো, এবং আমার পাশ দিয়ে ক্রস করলো। মেয়েটা ক্রিম কালারের একটা ওয়েস্টার্ন ড্রেস পড়া ছিলো আর হিল পড়েছিলো। চুলগুলো ছাড়া ছিলো আর ঠোটে গাড় করে লাল লিপস্টিক দেওয়া ছিলো।

মনে হচ্ছে মেয়েটার উপরে ক্রাশ খেয়ে গেছি, তবে সমস্যাটা হলো মেয়েটার কালচার। আমাদের ফ্যামিলিতেতো এসব কখনও এক্সেপ্ট করবেনা।ইস্ মেয়েটা যদি সালোয়ার কামিজ বা শাড়ী পড়তো, তাহলে কোন সমস্যা ছিলোনা। যাই হোক অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ অন্ধকার দেখে সব ইমোশন ব্রিজ থেকে কিক মেরে পানিতে ফেলে দিলাম।

প্রায় মাসখেনেক পরে আমার এক বন্ধু কোরিয়া থেকে প্রায় ৬ বছর পরে এলো। তার কিছুদিন পরেই এক বিকেলে সে আমার চেম্বারে আসলো।

-আরে দোস্ত তুই, এতোদিন কোরিয়া ছিলি, তারপরেও আমার চেম্বার চিনে এলি কিভাবে?
>দোস্ত, তুই বারমুডা ট্রায়াঙ্গল গেলেও তোরে খুজে বের করুম আমি।
-হুম, তো কি অবস্থা, কেমন আছিস তুই, বাসার সবাই কেমন?
>এইতো আছি, সবাই ভালো কিন্তু বোনটার শরীরটাই খুব খারাপ। তাইতো তোর চেম্বারে আসা।
- ওহ, তাহলে এখানে নিয়ে আয়, আমি দেখছি।
>নাহ দোস্ত, খুবই সিরিয়াস অবস্থা, এখানে আসতে পারবেনা সে।
কি আর করা, অগত্যা বন্ধুর অনুরোধে ওদের বাসায় যেতে হলো।

সেখানে যেয়ে তো আমি পুরাই টাস্কিত, আরে এইতো সেই মেয়ে যাকে হাতিরঝিল দেখেছিলাম, আর আরও অবাকের ব্যাপার হলো, সে একটা স্যান্ডু গেঞ্জি পড়ে দড়ি লাফ খেলছিলো।
>দোস্ত, এই আমার বোন। কিছু বুঝলি?
- হ্যা দোস্ত, আমাকে একটু সময় দে, কালকে আমি জানাচ্ছি।
>আচ্ছা দোস্ত।
ফ্রান্সে আমার এক বন্ধু থাকে, প্রফেসর ড. জ্যানেট গ্রিন (গাইনি & সেক্স বিভাগ)। তার সাথে ওর ব্যাপারে আলাপ করলাম। সে বললো মেয়েটার হরমোনের ঘাটতি আছে শরীরে, তাই এমন পুরুষালি আচরন করছে।

পরেরদিন বন্ধুকে কল দিয়ে বললাম বোনকে নিয়ে চেম্বারে আসতে, ওর চিকিৎসা শুরু হবে আজকে থেকে। ৩ মাসে হাড়ের গোড়ায় ওকে ৬ টা হরমোনের ইনজেকশন দিলাম (ইঞ্জেকশনের নাম বলা যাবেনা, আপনারা জেনে গেলে আমাদের বিজনেস শেষ)

৩ মাসের চিকিৎসা শেষ হলো, আমিও মনে মনে একটা প্রশান্তি পেয়েছিলাম।

চিকিৎসার প্রায় ২ মাস পরে আবার বন্ধুর ফোন। যেভাবেই হোক আজকে ওদের বাসায় আসতে হবে। আজকে আর না করলামনা, নিজের ইচ্ছেতেই গেলাম।

আজকে সে খুব সুন্দর করে শাড়ী পড়ে ঘোমটা টেনে পানির গ্লাস নিয়ে আসছে।
মনে হয় এখন আর আমাদের পরিবারে একে নিয়ে কোন প্রব্লেম হবেনা।
আমার ইমোশন গুলা তো সব হাতিরঝিলে ব্রিজের নিচে সাঁতরাচ্ছে, কেউ একটু তুলে দিয়ে যান প্লিজ।

না বলা ভালোবাসা




একটি মেয়ে একটি ছেলেকে ভীষণ ভালোবাসে, কিন্তু
সে বলতে পারেনা, আবার সেই ছেলেটিই ঐ মেয়েটাকেই
তার থেকেও বেশী ভালোবাসে কিন্তু ভয়ে বলতে পারেনা 

এমন হাজারো ভালোবাসার গল্প আছে যা শুরু হওয়ার
আগেই শেষ হয়ে যায়, কিন্তু এর ইতিহাস কাদিয়ে যায়
পুরো বিশ্বকে 
.
তাই যাকে ভালোবাসেন সাহস করে বলে ফেলুন, হয়তো
সেও আপনাকে মনে মনে ভালোবাসে কিন্তু বলতে পারেনা 

শুক্রবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৮

মিথিলার অবহেলিতো ভালোবাসা

অবহেলিতো ভালোবাসা

মিথিলার অবহেলিতো ভালোবাসা


ক্লাস এ ঢুকেই মিথিলার মেজাজটা খারাপ হয়ে গেল। কারন তখনো কেউই এসে পৌঁছায়নি। শুধুমাত্র রাতুল পিছনের টেবিলটাতে একা বসে আছে। এই ছেলেটাকে মিথিলা একদমই পছন্দ করে না। ক্লাসের সবচেয়ে অমনোযোগী , বাজে ছাত্র হিসেবেই রাতুল পরিচিত । আর দেখতেও কেমন জানি অগোছালো। মাথার চুলগুলো উসকো-খুসকো । পরনের কাপড় গুলোও অপরিষ্কার । মিথিলাকে দেখলেই ছেলেটা কেমন জানি হা করে তাকিয়ে থাকে । এই কারনে ছেলেটাকে মিথিলার আরও বেশি অপছন্দ ।

বিকেলবেলা মিথিলা তার বান্ধবী লগ্নের সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে জানতে পারলোযে তাদের ক্লাসের রাতুল , সুজয়ের কাছে মার খেয়ে মাথা ফাটিয়ে ফেলেছে।

মিথিলা , সুজয়কে খুব ভাল করেই চেনে । আগে প্রায়ই রাস্তায় মিথিলাকে বিরক্ত করতো । বখাটে ছেলেরা তো মারামারি করবেই , এটাই তো স্বাভাবিক । তাই , রাতুলের মাথা ফাটানোর ব্যাপারটা মিথিলার মনে একটুও ছেদ ফেলল না

মিথিলা মন খারাপ করে কলেজের বারান্দায় দাড়িয়ে আছে । আজকে ওর পরীক্ষাটা খুবই খারাপ হয়েছে । পাশ করতে পারবে বলে মনে হয় না । এত চিন্তার কারন ছিল না যদি এটা নির্বাচনী পরীক্ষা না হয়ে সাধারণ কোন পরীক্ষা হতো । কিন্তু , নির্বাচনী পরীক্ষায় পাশ না করতে পারলে তো সে এইচ.এস.সি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে পারবে না ।

পরের দিন কলেজে গিয়ে মিথিলা খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেল । কারন, গত রাতে নাকি শর্ট-সার্কিট এ আগুন লেগে ওদের পরীক্ষার খাতা পুড়ে গেছে । তাই গতদিনের পরীক্ষাটা আবার অনুষ্ঠিত হবে ।

এইচ.এস.সি পরীক্ষা শেষ হওয়ার কিছুদিন পরেই মিথিলার ক্যান্সার ধরা পড়ল । ধীরে ধীরে রোগটা সারা দেহে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করল । কিন্তু , অপারেশন করতে যে পরিমাণ টাকা দরকার তা জোগাড় করাটা মিথিলার পরিবারের পক্ষে সম্ভব হচ্ছিলো না । শেষ পর্যন্ত ধার-দেনা করে বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকা সংগ্রহ করে অপারেশন করা হল ।

আল্লাহের রহমতে এবং সবার দোয়ায় মিথিলা সুস্থ হয়ে উঠলো । সুস্থ হওয়ার কিছুদিন পরে মিথিলার কাছে একটা চিঠি আসে ।
চিঠিটা ছিল এইরকম :

প্রিয় মিথিলা,
কলেজে যে দিন তোমাকে প্রথম দেখেছি সে দিন থেকেই তোমাকে অনেক ভালবেসে ফেলেছি । কিন্তু, একটা বখাটে ছেলের ভালবাসাকে তুমি কোনদিনই মেনে নেবে না । তাই , ভেবেছিলাম লুকিয়ে যতটা ভালবাসা যায় ততটাই ভালবাসবো ।
সুজয় যে দিন লোক ভাড়া করে এনেছিল তোমাকে কিডন্যাপ করার জন্য , সে দিন ওদের সাথে মারামারি করেছিলাম শুধু তোমাকে বাঁচাবো বলে।
লগ্নের কাছে জানতে পেরেছিলাম, তোমার নির্বাচনী পরীক্ষায় রসায়ন পরীক্ষাটা খুব খারাপ হয়েছিল । তাই, সে দিন রাতেই কলেজের অফিসে তালা ভেঙ্গে ঢুকে খাতা পুড়িয়ে দিয়েছিলাম শুধু তোমার মুখে একটু হাসি দেখব বলে। কিন্তু , দারোয়ানের কাছে ধরা পরে গিয়ে ছয় মাসের জেল হল। কলেজেরই ছাত্র কাজটা করেছে বলে ব্যাপারটা শর্ট-সার্কিট এ আগুন লেগেছে বলে চালিয়ে দেয়া হল। তাই আর এইচ.এস.সি পরীক্ষাটা দেয়া হল না।
জেল থেকে বের হয়ে শুনলাম, তুমি ক্যান্সার এ আক্রান্ত। টাকার অভাবে তোমার অপারেশন হচ্ছেনা জেনে কোন উপায় না দেখে নিজের কিডনি বিক্রি করে টাকা সংগ্রহ করলাম শুধু তোমায় ভালবাসি বলে ।
আজ আমি জীবনের শেষ পর্যায় এ এসে উপস্থিত হয়েছি । আমার অবশিষ্ট কিডনিটা অনেক আগে থেকেই নষ্ট ছিল ।এখন অবস্থা দিনে দিনে আরও খারাপ হচ্ছে । ডাক্তার বলেছে, আর খুব বেশি দিন বাঁচবো না । তাই মারা যাওয়ার আগে ভাবলাম ,সেই কথাটা বলে যাই । যে কথাটা আজো তোমায় বলতে পারিনি ।

আমি তোমাকে ভালবাসি মিথিলা । অনেক ভালবাসি ।
ভাল থেকো ।
ইতি,
তোমাদের ক্লাসের সবচেয়ে বাজে ছেলে
রাতুল

মিথিলার চোখ দিয়ে পানি পড়তে পড়তে চিঠিটা ভিজে গেল....

প্রথম রিলেশন-ভালো থাকুক ভালোবাসা

ভালো থাকুক ভালোবাসা

ভালো থাকুক ভালোবাসা

কেউ যখন প্রথম রিলেশন করে তখন দু'জনই দু'জনার জন্য পাগল থাকে। সারাদিন ফোন,মেসেজ-চ্যাট এসবের মাঝেই সময় কাটায়। কিন্তু কিছুদিন পর দু'জনার-ই দু'জনার প্রতি আকর্ষণ কমতে থাকে। দু'জনার না কমলেও একজনার কমতে থাকে!
যে মানুষ টা আপনার সঙ্গে এক মুহুর্ত কথা না বলে

থাকতে পারতো না, সেই মানুষ টি'ই আজ সারাদিন কথা না বলে থাকতে পারে। তার কিছু মনেই হয় না!
আপনি সামান্য অসুস্থ হলে যে মানুষ টার চিন্তার সীমা থাকতো না। সেই মানুষ টি'ই আজ আপনার বড় অসুস্থতার কথা শুনেও ছোট্ট একটা কথা বলে বা take care বলেফোন রেখে দেয়। পরে তার আর মনেই থাকে না যে আপনি অসুস্থ। একবার শোনার প্রয়োজন ও মনে করে না- আপনি কেমন আছেন, ওষুধ খেয়েছেন কি'না?????

যে মানুষ টা আগে সবসময় আপনার প্রতিটি কাজে আপনার ভুল ঠিক গুলো ধরিয়ে দিতো। ভুল থেকে দূরে রাখতো আজ সে ভুলেই গেছে সেসব কথা।

আপনি না খেলে যে মানুষ টা কখনো খেতো না। সেই মানুষ টাই আজ সামান্য ব্যাস্তুতায় আপনার খোজ নিতে ভুলে যায়। তার মনেই পরে না যে আপনি খেয়েছেন কিনা!

হ্যাঁ, এটাই সেই মানুষ যে আগে আপনার সামান্য মন খারাপ থাকলে আপনার ছোট্ট একটা মেসেজেই বুঝে নিতো সবকিছু! আর আপনার মন ভালো করার জন্য অস্থির হয়ে যেতো। সেই মানুষ টাই আজ আপনার শত মন খারাপ থাকলেও বোঝে না। দিব্যি হাসিমুখে কথা বলে যায়। আর বুঝলেও ছোট্ট একটা কথা বলে ফোন রেখে দেয়!

এভাবেই একজনের অবহেলাপূর্ণ ব্যাবহারের কারণে আরেকজনের মন ভেঙে যায়। আর যার শেষ পরিণাম হয় "ব্রেকাপ"! এভাবেই খুব সহজে শেষ হয়ে যায় একটি সুন্দর মধুর সম্পর্ক!

তারপর কিছুদিন দু'জনই একটু কষ্ট পায়। কেউ কম- কেউবা বেশি! তারপর কিছুদিন যাওয়ার পর দু'জনই স্বাভাবিক হয়ে যায়। আর নতুন জীবন শুরু করে। কেউ কেয়ারলেস পাগলের মতো হয়ে যায়, কেউ নেশায় ডুবে যায়। সিগারেট না খাওয়া ছেলেটাও নেশার জগতে ডুবে যায়! কারণ সে একটু স্বাভাবিক হলেও তার জীবন থেকে হারিয়ে যায় সব রঙ! সব আনন্দ! সবকিছুই কেমন সাদাকালো মনে হয় তার কাছে!


তবুও জীবন থেমে থাকে না। কারো জীবন চলে আনন্দ ফুর্তি করে, কারো বালিশ ভিজিয়ে, কারও বা নিকোটিনের জগতে! আবার কেউবা সব কষ্টকে চাপা দিয়ে হাসিমুখে থাকার অভিনয় করে কাটিয়ে দেয় জীবন! জীবন তার মতো করে বয়ে চলে, থেমে থাকে না কারো জন্য- অপেক্ষা করে না কারো জন্য! জীবন জীবনের মতই চলে! কিন্তু, অবুজ আর সহজ-সরল মনের মানুষগুলো অস্বাভাবিক জীবন থেকে আর মুক্তী পায়না! তিলে তিলে নিঃস্ব হতে হতে একসময় না ফেরার দেশে চলে যায়!

সোমবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১৮

নির্লজ্জ ভালবাসা

 নির্লজ্জ ভালবাসা
নির্লজ্জ ভালবাসা

--তুমি এখনও সিগারেট খাচ্ছো? --দেখতেই তো পারছো! --কতবার না নিষেধ করেছিলাম? --তোমার নিষেধ শুনবো কেন? --আমি বলেছি তাই শুনবে! --নিষেধ করার তুমি কে শুনি?

--আমি কেউ না,তবুও শুনতে হবে! --তাহল শুনবো কেন? --থাকো তাহলে! আমি যাই! . মুন্নি চেয়ার থেকে উঠে হাটা ধরলে, রিয়াদ পিছন থেকে নরম সুরে আবার ডেকে বলে,, . --সত্যিই কি চলে যাচ্ছো?? --তো কি করবো? --এমনিতেই তো যাবে,বসো না একটু! --সিগারেট খাওয়া মানুষ পছন্দ করি না!

--আচ্ছা ঠিক আছে এই যে ফেলে দিলাম! . রিয়াদ হাত থেকে সিগারেটি ফেলে দিলে! মুন্নি পিছন ফিরে আবার চেয়ারে এসে বসে জিজ্ঞেস করে,,, . --এই অভ্যাসটা আজও ছাড়তে পারোনি? --অনেক চেষ্টা করেও হয়ে উঠেনি! --তো হঠাৎ এখানে আসতে বললে যে!
--কি জানি,, হঠাৎ মনে পরলো তাই! --নাম্বার পেয়েছো কোথায়? --পেয়েছি কোন একজনের মাধ্যমে!
--জানলে কিভাবে দেশে ফিরেছি? --ওটা কোন এক মাধ্যমে! --আজ পাচ বছর পর দেখা তাইনা? --হ্যা ৪ বছর ১০ মাস ১৭ দিন!
. মুন্নি অবাক দৃষ্টিতে রিয়াদের দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলে, হিসাবে নিকাশে তুমি এখনও ঠিক আগের মতই আছো! একটুও বদলাও নি! শুধু মুখে সেই মশ্রিন ভাবটা নেই! বিষন্নতার কিছুটা ছাপ এসেছে, . --কি ব্যাপার এভাবে তাকিয়ে আছো যে? . রিয়াদের ডাকে যেন মুন্নির ঘোর কাটে! অতঃপর বলে,, . --তুমি এখনও ঠিক আগের মত আছো!! --আগের মত আর কোথায় আছি! --এই যে সব কিছুর হিসাব রাখা!

--পুরানো অভ্যাস তো ছাড়তে পারিনি! --তাই তো দেখছি! --একটা কথা বলবো রাখবে? --হু বলো!
--চলো না রাস্তা দিয়ে একটু হাটি! --আমার বাসার দিকে হাটি চলো তাহলে! --কেন? --সন্ধ্যা হয়ে এলো তো! হাতে সময় কম!
--ওহ ঠিক আছে তাই চলো! . দু'জনে রাস্তার একপাশ ধরে আনমনে পাশাপাশি হাটছে! কেউ কোন কথা বলছে না! কি বলবে, বলার কোন ভাষা কেউ খুজে পাচ্ছে না! রিয়াদই এবার নিরবতা ভেঙে বলে,, . --তোমার সংসার জীবন কেমন চলছে? --হু অনেক ভালো চলছে! খুব ভালোবাসে ও আমায়!
--আবার যাচ্ছো কবে? --এইতো আগামি সপ্তাহ! --ওহ! --বিয়ে করেছো কোথায়? --কপালে তেমন কেউ জুটেনি! --কি করছো বর্তমানে?
--ছোট খাটো একটা চাকুরি করছি! --তোমার সেই গার্লফ্রেন্ডের কি খবর? --হু অনেক ভালো আছে!
--বিয়ে করছো না কেন তাহলে? --আরও কিছুদিন যাক তারপর করবো! --বয়স তো কম হল না! . রিয়াদ কিছু বলার আগেই সামনের দিকে চোখ পড়ে! কোন এক পরিচিত মানুষ হেটে আসছে! দূর থেকে তো অবনির মতই লাগছে! একটু কাছে আসতেই আরে হ্যা অবনিই তো! . --আরে রিয়াদ ভাই, আপনি এখানে? --কি ব্যাপার,কেমন আছিস ত? --আগে বলেন আপনি কেমন আছেন?
--এইতো ভালো! --মুন্নি ভাবির কোন খোজ পেলেন? --হ্যা পেয়েছি,না পাওয়ার মত!
--অনেক বড় ক্ষতি করে দিলাম আপনার! . রিয়াদ কিছু বললো না! এদিকে মুন্নি হতভাগ হয়ে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে আছে! কোথায় যেন মেয়েটিকে দেখেছে! কিন্তু সঠিক মনে করতে পারছে না! অবশেষে মনে পরে হ্যা,রিয়াদের সাথে দেখা সেই মেয়েটিই তো! কিন্তু রিয়াদ কে ভাইয়া বলে ডাকছে কেন তা বুঝতে পারছে না! . --আচ্ছা ভাইয়া,,পাশের জন কে?
. রিয়াদ এবারও কিছু বললো না! মুন্নি এবার নিজেই উত্তরে বলে,আমিই মুন্নি!
. নামটা শুনে অবনি যেন আকাশ থেকে পড়লো! কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছে না, তাই খুবই অবাক হয়ে বলে,,
 --আপনিই মুন্নি??? --জি আমিই মুন্নি! --আপনাকে জানেন আমি কত খুজেছি?
--কেন? --আপনার ভুল ধারনা ভাঙানোর জন্য! --কিসের ভুল ধারনা? --রিয়াদ ভাইয়ে প্রতি যে ভুল ধারনা!
--কি বুঝাতে যাচ্ছেন? --আপনি ঐদিন যা দেখেছিলে সবই ভুল! --নিচের চোখকে অবিশ্বাস করব? --কখনও চোখের দেখায়ও ভুল থাকে!
. এতক্ষন পর রিয়াদ মুখ খুলে বলে,,ঐ অবনি কি হচ্ছে এসব!
. --মুন্নি ভাবিকে সব জানানো দরকার!!
--কি লাভ তাতে? --ভুল ধারনটা তো ভাঙবে!

. রিয়াদ আর কোন কথা বললো না! কি বলবে?কিছুই তো বলার নেই! অবনি আবার বলতে শুরু করলো! আসলে মুন্নি আপু আমি অনাথ!
. ছোট বেলায় বাবা-মা ফেলে কোথায় চলে গেছে জানি না! সেই ছোট বেলা থেকে রিয়াদ ভাইয়া আপন ছোট বোনের মত মানুষ অনাথ আশ্রমে রেখে মানুষ করেছেন! যখন যা চেয়েছি যথা সাদ্ধ্য দিতে চেষ্টা করেছে!
. রিয়াদ ভাইয়া সব বলেছে আমায়! তুমি নাকি আমাদের অনেক জায়গায় অনেকদিন একসাথে ঘুরতে দেখে রাগ করেছো!
. রিয়াদ ভাই আমার আপন ভাইয়ের মত! আমার মন খারাপ থাকলে মাঝে মাঝেই ভাইয়া আমায় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে নিয়ে যেত, শুধু মাত্র আমায় খুশি রাখার জন্য!

. --কি ব্যাপার তুৃমি এখন বাসায় যাওনি
. মুন্নি চমকে উঠে পিছনে ফিরে তাকায়! সাথে রিয়াদ ফিরে তাকায় মহসিন(মুন্নির স্বামী)দাড়িয়ে আছে! হাতে জ্বলন্ত সিগারেট! অতঃপর মুন্নি ভয়ে ভয়ে উত্তর দেয়,,
. --এই তো এখনই যাচ্ছি! --এদের তো ঠিক চিনলাম না! --এই পূর্ব পরিচিত! --হু বুঝলাম,তো বাসা চলো,সন্ধ্যা হয়েছে!

. এই বলে মহসিন হাটা দিলে সাথে মুন্নিও হাটা দেয়! আর মনে মনে বলতে থাকে,সেই স্কুল জীবন থেকে তোমার সাথে প্রতিযোগিতায় নেমেছি, কখন ক্লাসে হারাতে পারিনি! জীবনের শেষ সিদ্ধান্তে আজ হারিয়ে দিলে!

সত্যি খুব অবাক করে দিলে আজ! তোমাকে আমি হারাইনি,,হারিয়েছি সত্যিকারের ভালোবাসা! . চোখের পানি আসলেই খুব নিলর্জ! কাউকে যেন মানতে চায় না! রিয়াদও তাই সাথে সাথেই পিছন ফিরে হাটা দেয়! আর মনে মনে বলতে থাকে;
. যে সিগারেট তুমি সবচেয়ে নেশি ঘৃনা করো,,সেই সিগারেট খাওয়া একজনের সাথে এখন একই ছাদের নিচে বসবাস করছো! তুমিও সত্যিই আমার মত ভালো নেই....

ফেসবুক লাভ স্টোরি- ভালোবাসতে চাই Love you babu

ভালোবাসতে চাই

ভালোবাসতে চাই

জান তুমি কি ব্যস্ত? -হুম। মা আশেপাশেই আছে এখন চ্যাট করতে পারব না। যাই পরে কথা হবে। Love you. babu তিশাঁ বিদায় নিয়ে অফলাইনে গেল।রাহাত ভাবছে কি আর করবে সে এখন ফেসবুকে! ১ ঘন্টা ধরে ফেসবুকে বসে আছে নিউজ ফিড পাল্টাপাল্টি করছে শুধু। হুট করেই রাহাত তিশার পারিবারিক আইডিতে গেল যেখানে তিশা তাকেএড করেনি সমস্যা হবে বলে। সেই আইডিতেই ঢুকে দেখল তিশার আগের প্রোফাইল পিক নেই। নতুন পিক দিয়েছে নিজের। হুট করেই মনে হল সে তার আরেকটা আইডি থেকে তিশার সাথে এড হবে। দুদিনের মধ্যেই এড হয়ে যায় তিশার ঐ আইডিতে। ঐ আইডিতে এড হয়ে রাহাতের চোখ কপালে।তিশা বলেছিল ওর সব পিক অনলি মি প্রাইভেসি দেয়া কিন্তু সব পিক ফ্রেন্ডস করা। সব লুল মার্কা ছেলে গুলা কি সুন্দর কমেন্ট করছে! তিশা মিথ্যা বলার পর ও রাহাত নিরব থাকে। কিচ্ছু বলে না। তিশা ইদানিং প্রচুর ব্যস্ত। রাহাতের জন্য তিশার যে আইডি খুলেছে সেখানে আসতেই পারেনা। রাহাত শিওর হয় সে সারাক্ষন তার ঐ আইডিতে থাকে আর তাকে মিথ্যা বলে।তিশার সাথে আগে রাহাতের প্রতিদিন কথা হতো। এখন তিশা কথা বলতে পারেনা কারন তিশা নাকি তার মায়ের সাথে ঘুমায়। কিন্তু তিশার দুইটা এয়ারটেল নাম্বারের একটা গভীর রাত পর্যন্ত ওয়েটি থাকে। রাহাত জিজ্ঞেস করেই ফেলে উত্তর আসে ঐ নাম্বার তিশা তার কাজিনকে দিছে। রাহাত প্রমাণ চায় যে ঐ নাম্বার তার কাজিনেরই কাছে। শুরু হয় ঝগড়া। তিশার কথা হল রাহাত তাকে বিশ্বাস করে না। নানান কথা বলে রাহাতকে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করে রিলেশন না রাখার কিন্তু প্রমাণ দেয় না সেই নাম্বার তার কাছে নেই। রাহাত তাকে প্রচুর ভালোবাসে। তাই কষ্ট এর দিনে সিগারেট কে সঙ্গী বানায়। আর কষ্টের কথা রাহাত বলতেই তিশা বলে এইগুলা রাহাতের আবেগ আর কিছুই না।রাহাত প্রচুর রাত জাগে আগে থেকেই। এখনো জাগে তবে নামের একটা কালো সিগারেটের প্যাকেট নিয়ে। নিকোটিনের সাথে তার প্রেম। রাহাত এতটুকু জানে নিকোটিন তাকে ঠকাবে না। কিন্তু সেদিন রাহাত দেখে তিশার সেই পারিবারিক আইডিতে In a relationship with কেউ দিয়ে স্ট্যাটাস। রাহাতের চোখ দিয়ে দু ফোঁটা জল আসে শুধু। বাহ! এই নাহলে ভালোবাসা। তিশার পারিবারিক আইডির নামের পাশে গভীর রাত পর্যন্ত সবুজ আলো জ্বলে আর ফোন ও ওয়েটিং থাকে সারাবিকেল!সারারাত রাহাত সব দেখে। তাদের মাঝে ব্রেকাপ হয়নি কিন্তু তিশা অন্য কাউকে ভালোবাসে। রাহাতের নতুন প্রেম রাত জেগে চলে তিশার মত। নিকোটিনের প্রেম। :- বর্তমানে ফেসবুকে হাজারটা রাহাত আছে। তারা প্রতারিত হয় কিন্তু চেপে যায়। সবার কাছে তারা সুখী। জীবন চলছে।রাহাতরাও চলছে তাদের আবেগ নিয়ে। তিশারাও ব্যস্ত তাদের ভালোবাসা নিয়ে! সুখে থাকুক তিশারা আর আরো বেশি করে কষ্ট পাক রাহাতরা! রাহাতদের জন্মই ঠকার জন্য কারন এরা যে অন্ধ ভালোবাসতে পারে না। তিশাদের কাছে প্রমাণ চাইলেই রাহাতরা ভালোবাসতে জানে না। আর রাহাতদের সন্দেহ যদি কোনক্রমে ভুল হয় (যদিও কখনো হয় না) তবুও তাদের ক্ষমা করা হয়না। রাহাতদের মত তাদের তিশারা ভালোবাসতে পারেনা। প্রকৃতি আসলেই ভালোবাসাময় কিন্তু খামতিও যেন কোথাও আছে !!!

বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১৮

তোমার কাছে শেষ চিঠি



আজ হঠাৎ করেই তোমার কথা মনে পড়ে গেলো।মনে সব সময়ই পড়ে, কিন্তু আজ একটু বেশিই ভাবছি তোমার কথা।আজ তোমার স্মৃতিগুলো একটু বেশি নাড়া দিচ্ছে মনের মধ্যে।মরে পড়বেনা কেনো বলে, আমিতো তোমাকে কথা দিয়েছিলাম মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তোমায় ভালো বাসবো।কথা যে শুধু আমিই দিয়েছিলাম তা নয়, তুমিও বলেছিলে সাড়া জনম পাশে থাকবে।কিন্তু সবাই কি কথা রাখতে পারে বলে।
আচ্ছা তোমার কি সেই জোছনা মাখা পূর্নিমা রাতের কথা মনে পড়ে? যে রাতে তুমি আর আমি দুজন হাত ধরে পাশাপাশি হেটে যাচ্ছিলাম।কেউ দেখে ফেলবে এই ভয়ে আমি বার বার গায়ের চাদরটা দিয়ে আমার মাথা ঢাকছিলাম।আর তুমি বড় বড় চোখ করে আমার দিকে তাকাচ্ছিলে।আমি খুব ভিতু ছিলাম তাই নাা?
তোমার কি সেই মাঝ নদীতে দুজনের নৌকা চালানোর কথা মনে আছে,তুমি ভয়ে আমার গাঁ ঘেসে বসেছিলে।আর আমি তোমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলেছিলাম ধুর পাগলি ভয় কিসের আমি আছি না।বিশ্বাস করো আমি চেয়েছিলাম সাড়া জনম এমনি করেই তোমাকে জড়িয়ে ধরে রাখতে। আচ্ছা তোমার কি সেইদিনের কথা মনে আছে, যেদিন তোমার সাথে দেখা করার জন্য সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করাতে হয়েছিল আমাকে।তুমি বলেছিলে সমস্যার কারনে আসতে পারোনি। বিশ্বাস করো আমি সেদিন কিছুই মনে করিনি।কারনে আমিতো তোমাকে ভালই বাসতাম। জানি এইসবের কিছুই তোমার মনে নেই।মনে থাকবেই বা কেনো।এখন তো তোমার অন্য কারো কথা ভাবতে হয়।আচ্ছা আমি কি তোমার এতোটাই অযোগ্য ছিলাম।তুমি কি চাইলেও পারতে না আমাকে তোমার যোগ্য করে নিতে।থাক তোমাকে আর দোষ দিেয় কি হবে।সবই নিয়তির কাছে বাধা।তবে আমি না হয় একক ভাবেই তোমাকে ভালো বাসবো ঠিক আগের মতই।

একটি রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প



এই শোন!!
–বল!
–আমাকে কিন্তু অনেক ভালবাসতে হবে।
–ওকে
–শুধু ওকে না।আমি যেন কোন কিছু না বলার
আগেই পেয়ে যাই।
–আচ্ছা ঠিক আছে।
–আমাকে সময় দিতে হবে।
–অফিসের টাইম ছাড়া বাকি টাইমটুকু
তোমার।
–মাঝেমাঝে অফিস থেকে ছুটি নিবা।আর
প্রত্যেক সপ্তাহে আমাকে নিয়ে রিক্সায়
করে ঘুরতে বের হবা।
–আপনার সব শর্ত মেনে নিলাম।
.
আসলে বিয়ের পর সব স্ত্রীগুলাই তার
স্বামীকে অনেকগুলো শর্ত জুড়ে দেয়।আর
স্বামীরাও বোকার মত হ্যা বলে দেয়।এটাই
ভালবাসা।
যখন ঘুরতে যাবার জন্যে দুজন কোন দিন ঠিক
করে। আর স্ত্রী তার নিজের পছন্দ মত
সাজগোজ করে আর ঐদিকে স্বামী তার
অফিসের কাজে আটকে যায়।ফিরে রাত ১০
টায়।বাসায় এসে যখন স্ত্রীর সামনে কান ধরে
বলে সরি।তখন স্ত্রীর সারাদিনের এত্তগুলা
রাগটা একেবারে আগুন জল হয়ে যায়।এটাই
ভালবাসা।
.
স্বামী যখন অনেক রাত করে বাড়ি ফিরে। আর
স্ত্রী তখন ক্ষুধার্ত পেট নিয়ে খাবার
টেবিলে বসে থাকে সামনে খাবার থাকা
সত্ত্বেও কারন স্বামী আসলে একসাথে খাবে
বলে এটাই ভালবাসা।
.
স্বামী স্ত্রী যখন মার্কেটে যায় মার্কেট
করতে।আর স্ত্রী যখন একটা শাড়ি পছন্দ করে
যখন দেখে শাড়িটার দাম পাচঁ হাজার টাকা।
তখন স্ত্রী যেকোন একটা অজুহাত দেখিয়ে
শাড়ি না কিনেই চলে যায়।এটাই ভালবাসা।
আর এই শাড়িটাই যখন তার স্বামী পরে সেই
মার্কেট থেকে কিনে নিয়ে এসে স্ত্রীকে
দেয়।আর স্ত্রী যখন জল ভর্তি চোখ নিয়ে
স্বামীকে জড়িয়ে ধরে এটাও ভালবাসা।
.
স্বামীর জন্যে যখন টানাটানির সংসার খরচ
থেকে অল্প অল্প করে একটা শার্ট আরেকটা
প্যান্ট বানিয়ে স্পেশাল কোনদিনে
স্বামীকে গিফট করে।এটাও এক প্রকার
ভালবাসা।
.
আসলে ভালবাসার অনেক উপায় হয়।
ভালবাসার উপায় বলে শেষ করা যাবে না।বড়
বড় রেস্টুরেন্টে না গিয়ে পার্কের ভিতর
গাছের নিচে বসে দুজন দুই কাপ চা। আর দুটো
বিস্কুট খেয়ে লাঞ্চ শেষ করা এটাও
ভালবাসা।আসলে ভালবাসার জন্যে অত
টাকা অত অর্থ লাগেনা।লাগে সুন্দর একটা মন।
যেই মনের ভিতর অফুরন্ত ভালবাসা থাকতে হবে।

মায়াবতী




নবম শ্রেণীতে পড়তাম তখন।এক শীতের সকালে ঘুমঘুম চোখে প্রাইভেটে যাচ্ছিলাম।সেদিন মোটামোটি কুয়াশা ছিল।এক বাড়ির পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম দেখলাম ঘর থেকে একজন লোক আর একজন মেয়ে বের হল।আগে কখনো এলাকায় দেখিনি।নতুন হবে মনেহয়।সম্পর্কে বাবা আর মেয়ে হয়তোবা,কারণটা বয়সের পার্থক্যেই বোঝা যাচ্ছে।খেয়াল করলাম এজন্যই যে,মেয়েটি তার বাবার হাত ধরে ছিল যেমনটা একটা ছোট বাচ্চা ধরে রাখে।দেখে মনে হচ্ছিল মেয়েটি মনেহয় হারানোর ভয়েই বাবার হাত এত ভালোভাবে আঁকড়ে ধরেছিল।কারণ মেয়েটি জানে এটা সবচেয়ে ভরসার জায়গা,তার বাবা তার কোনো ক্ষতি হতে দিবেনা।দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছিল যে এতবড় একটা মেয়ে এখনো বাবার হাত ধরে রাস্তায় হাঁটে।
.
মেয়েটি কালো রংয়ের একটি চাদর পড়া ছিল,বাম কাঁধে একটি ব্যাগ,চেহারা মায়াবী ধরনের,ডান হাত দিয়ে বাবার বাম হাত শক্তকরে ধরা ছিল।আর মেয়েটির বাবা একটি সাদা পাঞ্জাবী পড়া ছিল কালো পায়জামা দিয়ে।বাবা-মেয়ের মধ্যে অনেক ভালোবাসা যা বোঝা যাচ্ছিল।তারপর তারা তাদের গন্তব্যস্থলের রাস্তামত হাঁটা দিল আর আমি আমার রাস্তামত হাঁটা দিলাম।
.
মনটা একটু খারাপ ছিল কারণ গতরাতে বেশি ঘুমাতে পারিনি।ও বলাইতো হয়নি,আমি আবার প্রচুর ঘুমকাতুরে ছেলে।তাই বেশি বন্ধুবান্ধবও নেই কারণ পড়ালেখা করে বাকি সময় ঘুমিয়ে পার করি।শুনেছিলাম অতিরিক্ত ঘুমালে মানুষ মোটা হয়ে যায়।কথাটা কতটুকু সত্যি তা নিজের বেলাতেই প্রমাণ পাচ্ছি।আর না হয় আমি এক্সট্রাঅরডিনারি তাই হয়তোবা আমার সাথে এমন(নিজের সুনাম বলার সুযোগ মিস করতে হয়না)।যাই হোক বাবা আর মেয়ের ভালেবাসা দেখেই মনটা ভালো হয়ে গেল।সময়মতই প্রাইভেটে পৌঁছালাম।ভাবছিলাম তাদের কথা,সাথে নিজেরও।আমি আমার বাবার হাতটা ধরে শেষ কবে রাস্তায় হেঁটেছিলাম মনে নেই।
.
প্রাইভেট শেষ করে স্কুলে পৌঁছালাম।ক্লাসের ফার্স্ট বয় আমি তাই ছেলেদের পাশের প্রথম বেঞ্চের কিণারায় আমার জায়গাটা সবসময়ই থাকে।কেন যে সবাই খালি রাখে বলতে পারিনা।আমি কখনো রাখতে বলিনি আর কখনো জিজ্ঞাসাও করিনি তাদের,যে কেন করে এমনটা।নিজের জায়গায় বসে সকালের নাস্তা করছিলাম হঠাৎ শুনলাম তানিয়া কাউকে ঝগড়ার সুরে এই মেয়ে এই মেয়ে বলে ডাকছে।ও তানিয়ার পরিচয়টা দেয়া হয়নি।ক্লাসের সেকেন্ড গার্ল।অনেকটা অহংকারী মেয়ে।সবার সাথে প্রচন্ড খারাপ ব্যবহার করে।ক্লাস ক্যাপ্টেন সে-ই ।আমি কথা কম বলি দেখে স্যার ওকে ক্যাপ্টেন্সির দায়িত্ব দিয়েছে।আর ক্লাসের সবার নামই এই মেয়ের জানা আছে।তো এই মেয়ে এই মেয়ে বলে কাকে ডাকছে! কৌতূহলবশত পাশের সারিতে তাকালাম।তানিয়ার পেছনের দিকটাই দেখা যাচ্ছিল,মেয়েটিকে দেখা যাচ্ছিলোনা।কিন্তু কথোপকথন ভালোভাবেই শোনা যাচ্ছিল,
.
এই মেয়ে(তানিয়া)
↬আমাকে বলছেন?(মেয়েটি)
হুম তোমাকেই
↬বলুন?
তুমি এই জায়গায় বসেছো কেনো?জানোনা এটা আমার জায়গা?
↬আমিতো স্কুলে নতুন তাই জানতামনা।আর কেউ আমাকে বসতে মানাও করেনি।
আচ্ছা জানতেনা,এখনতো জেনে গেছ।তাহলে এখন আমার জায়গা ছাড়ো আমি বসব।
↬জ্বি আচ্ছা
.
মেয়েটি উঠে চলে যাচ্ছিল।আমার কাছে তানিয়ার ব্যবহার এমনিতেই খারাপ লাগে কিন্তু কিছু বলিনি এতদিন ,নিজেকে কি যেন মনে করে!!!নতুন একজন ছাত্রীর সাথে কিভাবে কথা বলে তাও শেখেনি।তানিয়ার ব্যবহার অসহ্য লাগছিল তাই ওকে কিছু বলার জন্য ওদের সামনে গেলাম।সামনে গিয়ে দেখলাম নতুন মেয়েটি সকালের সেই বাবার হাত ধরে হেঁটে যাওয়া মেয়েটি।
.
আপনি উঠবেননা,বসুন।(আমি)
↬এটা আমার জায়গা(তানিয়া)
দেখিতো নাম লেখা আছে নাকি! কই?কোথাওতো তোমার নাম লিখা নেই।তাহলে এটা কিভাবে তোমার জায়গা হল?তোমার যতটা অধিকার আছে এই জায়গাতে তেমনি ক্লাসের সব মেয়ের ততটাই অধিকার আছে।একটু বেশিওনা,একটু কমও না।
↬তাহলে তুমি সবসময় ঐ জায়গাতেই বস কেনো?
আমি এই জায়গা খালি পাই তাই বসি।কেউ কখনো ঐ জায়গাতে বসেনা।কেন বসেনা তা ওরাই ভালো জানে,আমি কখনো জানার প্রয়োজন মনে করিনি তাই জানিনা।আর হ্যাঁ আমাকে কখনো কাউকে উঠিয়ে এই জায়গায় বসতে দেখেছো তোমার মত?

কোনো কথা বললোনা তানিয়া।রাগে ফুসতে ফুসতে পেছনে চলে গেল।আমিও আমার জায়গায় চলে আসলাম।মেয়েটি এতক্ষণ দাঁড়িয়ে আমাদের কাহিনী দেখছিলো।আমরা চলে আসার পর সেও ব্যাগ নিয়ে পেছনে চলে যায়।
.
মেয়েটি কেন এমন করল জানিনা।এই প্রথম কারো আজব ব্যবহারের কারণ জানার ইচ্ছে হল।ক্লাস শুরু হল।প্রতিদিন ৭টা ক্লাস আমাদের।৪ ক্লাস পর টিফিন।তারপর ৩ ক্লাস।৪ ক্লাস শেষ হবার আগেতো আর কথা বলা যাবেনা।তাই অপেক্ষা করতে লাগলাম টিফিনের।অপেক্ষার প্রহর যেনো কাটতেই চায়না।আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছিলাম তাড়াতাড়ি টিফিনের সময়টা যেনো চলে আসে।যাইহোক টিফিনের সময় এল।তাড়াহুড়ো করে নিজের টিফিন শেষ করলাম।এবার মেয়েটির টিফিন শেষের অপেক্ষায়।ভাবছিলাম যাব কি যাবোনা!এক মন বলছিল জানার দরকার নেই,আরেক মন বলছিল দরকার আছে।অনেক চিন্তা ভাবনা করে মনের সাথে যুদ্ধ করে ঠিক করলাম যে আমার জানতে হবেনা এখন।সেদিনের মত ক্লাস শেষ করে বাসায় চলে আসলাম।
.
মেয়েটির জন্য এই প্রশ্নটা মনের মধ্যেই রেখে দিলাম।যদি কখনো কথা হয় উত্তরটি জেনে নিব।পরদিন মেয়েটিকে আবারও বাবার হাত ধরে স্কুলে আসতে দেখলাম।এই দৃশ্যটা আমার অনেক ভালো লাগে,কেন লাগে জানিনা।আরেকটি প্রশ্ন মনে জাগ্রত হল,কেন মেয়েটি এভাবে বাবার হাত ধরে হাঁটে।এটাও জমা রাখলাম আমার মনের প্রশ্নব্যাংকে।
.
আজ ক্লাসে মেয়েটি তানিয়ার পাশে বসেছে।মেয়েটি নিশ্চয়ই পাগল না হয় ছাগল।না হয় গতকাল এতটা খারাপ ব্যবহারের পরও ওর পাশে বসতোনা।ওরেব্বাপরে,মেয়েটি তানিয়ার সাথে হাসিমুখে কথাও বলছে।আমি ওর জায়গায় থাকলে এমনটা কখনো করতামনা।
শুধু তানিয়ার সাথেই নয় ধীরে ধীরে মেয়েটি ক্লাসের সব মেয়ের সাথেই বন্ধুত্ব করে ফেলে।সবাইকে সাহায্য করে যতটা সম্ভব।ক্লাসটাকে এখন অন্যরকম লাগে।আর মেয়েটি ক্লাসে ঢুকলেই সবাই তাদের সাথে বসার জন্য এই মেয়েটিকেই ডাকাডাকি করে।সবাই ওকে-ই ডাকে কেনো!আসলেই মায়াবতীর মায়ার তুলনা নেই।
.
আগে সবসময় ক্লাসে তানিয়ার হৈ চৈ শুধু শোনা যেত।এখনো শোনা যায় কিন্তু সবার একসাথে।তানিয়ার মেজাজের মধ্যেও পরিবর্তন অনেক কারণটা মায়াবতীই।আরেকটা মজার বিষয় হচ্ছে যেই তানিয়া আগে প্রথম বেঞ্চে বসার জন্য ঝগড়া পর্যন্ত করতো সে এখন প্রথম বেঞ্চেই বসেনা,শেষের বেঞ্চে বসে সাথে মায়াবতীও।
.
কিছুদিনের মাঝে মায়াবতীর নামও জেনে যাই।ওর নাম অনন্যা।সারাদিন ক্লাসে দুষ্টুমী করে মেয়েদের সাথে।পড়ালেখায়ও মেয়েটি এগিয়ে।এতদিন আমার সাথে কখনো কথা হয়নি মায়াবতীর সাথে কারণ প্রয়োজন পড়েনি।
.
নবম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণীতে উঠলাম।আমার আর তানিয়ার সাথে যুক্ত হয়েছে মায়াবতী, ৩ নম্বর এ।
.
দেখতে দেখতে টেস্ট পরীক্ষা চলে আসল।টেস্টের কিছুদিন আগে আমার আর মায়াবতীর কথোপকথন হয়।আগে কথাটা সে-ই বলে,
↬অনিক তোমার গণিত নোট খাতাটা আমাকে ধার দেয়া যাবে?আসলে আমার খাতটা কমপ্লিট হয়নি,আর সামনে টেস্ট পরীক্ষা।
(সুযোগ হাতছাড়া করার নয়,বলে দিলাম )দিতে পারি যদি আমার ২টা প্রশ্নের উত্তর দাও
↬কি প্রশ্ন?
প্রশ্নব্যাংকে জমানো প্রশ্ন তুলে আনলাম।প্রথম প্রশ্ন,সবসময় তুমি তোমার বাবার হাত ধরে হাঁটো কেনো?
↬(একটা হাসি দিয়ে)আসলে তেমন কিছুনা,এটা অভ্যাস।আমার মা নেই।বাবার হাত ধরেই পথ চলতে শেখা।এখনও তাই করি।বাবার হাত ধরে হাঁটলে মনের মধ্যে কোনো ভয় থাকেনা।
দ্বিতীয় প্রশ্ন,প্রথম দিন পেছনে চলে গিয়েছিলে কেনো?
↬ভালোলাগেনা আমার 
ঝগড়া বা কারো কোনো কিছু দখল করা।নিজেকে দোষী মনে হচ্ছিল তাই পেছনে চলে গিয়েছিলাম।
আচ্ছা খাতা আগামীকাল পেয়ে যাবে
↬ধন্যবাদ(বলেই চলে গেল)
.
ভালো লাগল ওর উত্তরগুলো।মায়াও লাগলো সাথে হিংসেও।মায়া লাগল,কারণ ওর মা নেই,আর হিংসা লাগল কারণ আমি আমার বাবার হাত ধরে হাঁটতে পারছিনা!পরদিন নোট খাতা এনে ওকে দিয়ে দিলাম।এক সপ্তাহ পর খাতা ফেরতও পেয়ে গেলাম।
.
দেখতে দেখতে টেস্ট,এসএসসি শেষ হল।মায়াবতীর প্রতি ভালোলাগাটাও সমানুপাতিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছিল।একরকম পাহাড়া দিয়েই রাখছিলাম ওকে।
রেজাল্ট বের হল।আশানুরূপই ফলাফল সবার।
.
কলেজে ভর্তি হওয়া নিয়ে টেনশন নেই কারণ যে স্কুলে আমরা পড়ালেখা করি তা ইন্টার পর্যন্ত।বেশিরভাগই রয়ে গেল,কিছু ছাত্র-ছাত্রী চলে গেল,সাথে নতুন কিছু ভর্তি হল।আবার আমাদের যাত্রা শুরু।এখনো মায়াবতীকে পাহাড়া দিয়েই রাখছি। ওর ধারে কাছে আজঅবধি কোনো ছেলেকে ঘেঁষতে দেইনি।
.
সেকেন্ড ইয়ারে উঠার পরের ঘটনা,
কিছুদিন যাবৎ হৃদয়কে দেখছি মায়াবতীর আশেপাশে ঘুরঘুর করতে।মনের মধ্যে একটা ভয় জেগে উঠল।
.
হঠাৎ একদিন দেখলাম হৃদয় মায়াবতীকে ডাকছে।ভয়টা তীব্র হল।হৃদয় ডাকলো আর অমনি মায়াবতীও যাচ্ছে হৃদয়ের কথা শুনতে,ভালো লাগলোনা দেখতে।তাই আমিও ডাকলাম অনন্যাকে। অনন্যা?
↬আসছি হৃদয়ের কথা শুনে
এখানে আগে আসো,অনেক দরকার
↬হৃদয়ের কথা শুনে আসি?
এখন আসলে আস,না হয় আর আসতেই হবেনা
↬আসছি
(মায়াবতী আমার কাছেই আসলো আগে)
↬হুম,বল
শোন মায়াবতী(ইস্,বলে দিলাম,থাক সমস্যা নেই)
↬অনন্যা
মায়াবতী
↬অনন্যা
মায়াবতী
↬অাচ্ছা বল কি বলবে?
সেই ক্লাস নাইন থেকে পাহাড়া দিচ্ছি,এখন অন্য কেউ নিয়ে যাবে!হবেনা!! আমার সিরিয়াল প্রথম।
↬কি বলতে চাইছো?
কী বলতে চাইছি বুঝতে পারছোনা তুমি?
↬যা বুঝতে পারছি তাই?
হুম তাই
↬সম্ভব নয়..
কেন নয়?অন্য কেউ আছে?
↬না তা নয়
তাহলে আমার মাঝে কোনো প্রবলেম?
↬নাহ
তাহলে সমস্যা কি?
↬ভালোবাসবো একজনকে আর বিয়ে অন্যজনের সাথে হবে,এটা হতে পারেনা
আচ্ছা প্রেম করতে হবেনা।সাপোর্ট দিলেই হবে
↬কেমনটা?
অপেক্ষা করতে হবে আমার জন্য।করবে?অন্য কারো হতে পারবেনা।এর জন্য যা করার সব আমি করবো।পারবে?
↬আমার মা নেই তাতো জানোই।বাবা মানুষ করেছেন।বড় ভাই ভাবী সবাই আমায় অনেক ভালোবাসে।আমার মতের বাহিরে বিয়ে দিবেনা।
তার মানে হ্যাঁ,তাইতো?
↬হুম..তাই।আমার সাধ্যমত চেষ্টা করবো।কিন্তু ধোঁকা দিলে?
বিশ্বাস রাখতে পারো,ঠকবেনা।আর আমার একটা শর্ত আছে
↬কী?
প্রেম করার শখ ছিল।একসাথে বাদাম খাওয়ার শখ ছিল,নদীর পাড়ে বসে থাকার শখ ছিল।বৃষ্টির সময় একসাথে বৃষ্টি দেখার আর পারলে ভিজার শখ ছিল।এখনতো পূরণ হচ্ছেনা,সমস্যা নেই। কিন্তু পরে তা পূরণ করতে হবে
↬মানে?কখন?
বিয়ের পর।বিয়ের পর ১ বছর আমরা প্রেম করবো।রাজি?
↬পাগল একটা
হুম তাই!
↬আগে বিয়ে হোক তারপর প্রেম করি কিনা দেখা যাবে…!!!
.
এইচএসসি দিলাম।আমার বাবার অবস্থা অনেক ভালো তাইতো হাত ধরার সুযোগ পাইনি কারণ তার কাজের ব্যস্ততা।তার বদলে সবসময় স্বাধীনতা পেয়েছি সকল সিন্ধান্ত নেওয়ার।নিজের জীবনের সবচেয়ে বড় সিন্ধান্ত নেবারও স্বাধীনতা আমি পাব বলেই আশা রাখছি।
.
যেহেতু বাবার টাকা পয়সা ভালোই আছে তাই এইচএসসির রেজাল্টের পর বিদেশ চলে গেলাম পড়াশোনার জন্য।এমবিএ শেষ করে তবেই দেশে ফিরবো মায়াবতীর জন্য।মায়াবতীর প্রতি অনেক বিশ্বাস,জানি কথা রাখবে।
.
এমবিএ কমপ্লিট করে দেশে ফিরলাম।মায়াবতী কথা রেখেছে।সে বিয়ে করেনি বা বিয়ে হয়নি তার।এখনো পড়ালেখা করছে।বাবা-মাকে মায়াবতীর কথা জানালাম।তারা রাজী হল।তারপর তারা মায়াবতীর বাসায় গেল তার বাবা আর পরিবারের মানুষের সাথে কথা বলতে।সবাই সব দেখার পর রাজী।আমার আর মায়াবতীর বিয়ে ঠিক।জানুয়ারি মাসের ১৫ তারিখে আমাদের ছোট বিয়ে আল্লাহর রহমতে সম্পন্ন হল,মানে কাবিন হল আর কি! ১বছর পর বড় বিয়ে করে মায়াবতীকে তুলে আনা হবে আমার বাসায়।চাকরীর বাহানা দিলাম কিন্তু সত্যি হল এই এক বছর আমরা প্রেম করবো সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে।
এই রকম গল্প পড়তে চাইলে আমাদের ফেচবুক পেজ এ লাইক ও কমেন্ট করে সাথে থাকুন ।